Publish: Tuesday, 21 January, 2025, 11:44 PM
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ বলেছেন, তার সরকার গণতন্ত্রের পথে বাংলাদেশের উত্তরণে সহায়তা করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
শোলজ অধ্যাপক ইউনূসকে বলেন, আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে, আমরা আপনাকে সমর্থন করবো।
এসময় প্রধান উপদেষ্টা স্কোলজকে জানান, ছয়টি কমিশন কর্তৃক জমা দেওয়া প্রধান সংস্কার প্রতিবেদনের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরির সুবিধার্থে একটি ঐকমত্য কমিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর, রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে, যা জুলাই এবং আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের গণতান্ত্রিক চেতনাকে সমুন্নত রাখবে।
দুই নেতা প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সঙ্কট এবং মিয়ানমারের নিরাপত্তা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন।
অধ্যাপক ইউনূস দুই দেশের মধ্যে বৃহত্তর ব্যবসায়িক সংযোগের আহ্বান জানান এবং বাংলাদেশে ব্যবসায়িক সুযোগ খুঁজতে জন্য জার্মান ব্যবসায়ীদের একটি দল ঢাকায় পাঠানোর অনুরোধ জানান। এসময় প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে আরও জার্মান বিনিয়োগের আহবান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখনও সার্কের ধারণা ধারণ করে এবং প্ল্যাটফর্মটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
তিনি জার্মান চ্যান্সেলরকে ব্যাখ্যা করেন, নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ কীভাবে দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশকে উপকৃত করতে পারে, যা সকলকে নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে রূপান্তরে সহায়তা করে।
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরিতে তিনি শোলজের সহায়তাও কামনা করেন।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ