Publish: Tuesday, 8 April, 2025, 2:47 PM

গ্রীষ্মের এই সময় সুস্থ থাকার জন্য প্রায় সবাই ভরসা রাখেন তাজা ফলে। গ্রীষ্মকালীন ফলমূল স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। বিশেষ করে তরমুজ, শসা, জামরুল ও জামের মতো ফল শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। পাশাপাশি প্রতিদিন ফল খাওয়া হলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ফল খাওয়ার নানা উপকার থাকলেও দিনের ঠিক কোন সময় ফল খেলে উপকার মিলবে, তা অনেকেরই অজানা। অনেকেই আছেন যারা দুপুরে খাবার খাওয়ার পর ফল খান, আবার কেউ রাতের খাবারেও ফল রাখেন। তাই বলে দিনে যখন-তখন ফলমূল খাওয়া ঠিক নয়। সঠিক সময় ফলমূল খেলে শরীরের বিভিন্ন উপকারিতা মিলে।
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম নিয়ে কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ শ্রেয়সী ভৌমিক। তিনি বলেন, ফলের মধ্যে শরীরকে ডিটক্সিফাই করার ক্ষমতা রয়েছে। ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। এ জন্য ফল নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার কথা বলা হয়। ভারী খাবার খাওয়ার পর ফল খেতে নিষেধ করা হয়।
এ পুষ্টিবিদ বলেন, দুপুরে খাবার খাওয়ার পর পর্যাপ্ত পরিমাণ ফল খেলে বদহজম হয়। গ্যাস-অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা হয়। আবার পেটের পিএইচ স্তরের ভারসাম্যও নষ্ট হয়। সূর্য ডোবার পরও ফল খাওয়া ভালো নয়। রাতে ফল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে এবং শরীরে শক্তি উৎপন্ন হয়। অথচ শক্তির প্রয়োজন হয় সকালে। এ অবস্থায় রাতে খাওয়া হলে অনেক সময় ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে। কারও কারও আবার বদহজমও হয়। তাই সন্ধ্যার পর ফল না খাওয়াই ভালো।
তবে খালি পেটে ফল খেলে ভালো উপকার মিলে। এ জন্য সকালের নাশতায় ফল রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা। খালি পেটে এবং ভারী খাবার খাওয়ার ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা আগে ফল খাওয়া উচিত। পাশাপাশি ফল খেয়ে পেট ভরানো ঠিক নয়। এ জন্য মিড মিল হিসেবে ফল খেতে পারেন। অর্থাৎ, দুটো ভারী খাবারের মাঝের সময় ফল খেতে পারেন। যেমন, সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবারের মাঝামাঝি সময় ফল খেতে পারেন। এতে উপকারও মিলবে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ