Publish: Thursday, 17 April, 2025, 7:33 PM

আইএমএফের ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি পাওয়া যাবে কি-না তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশ। এবারের মিশন শেষ হলো কোনো সমঝোতা চুক্তি ছাড়াই।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আইএমএফ মিশনের সফর শেষে ব্রিফিংয়ে এ-কথা জানান মিশন চিফ ক্রিস পাপা জর্জিও। তিনি বলেন, রাজস্ব আদায়ে এখনো অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। তবে ঋণ পাওয়ার বিষয়ে আলোচনার দরজা খোলা আছে বলেও জানান তিনি।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটে ২০২২ সালে আইএমএফের দ্বারস্থ হয় তৎকালীন সরকার। সে-সময় নানা শর্ত জুড়ে দিয়ে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দেয় সংস্থাটি। পরে ৩ কিস্তিতে ছাড় হয় ২৩১ কোটি ডলার।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর, গেলো ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ঘুরে যায় আইএমএফ মিশন। সে সময় ডলারের বাজার-ভিত্তিক বিনিময় হার নির্ধারণ না করা, ৬৩ হাজার কোটি টাকার বাড়তি রাজস্ব আদায় করতে না পারা আর ভর্তুকি কমানোর প্রশ্নে অসন্তোষ প্রকাশ করে মিশন। শঙ্কা তৈরি হয় ঋণের বাকি অর্থ ছাড় নিয়ে।
এবারও ১২ দিনের সফর শেষ হলো কোনো সমঝোতা চুক্তি ছাড়াই। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের প্রধান জানালেন, কিস্তির অর্থ ছাড় পাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে ওয়াশিংটন ডিসিতে বসন্তকালীন বৈঠকের পর।
বাংলাদেশের আইএমএফ মিশন চিফ ক্রিস পাপা জর্জিও বলেন, ‘বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস ঠিক রাখতে আর্থিক খাতের সামঞ্জস্য আনা দরকার। যদি ডলারের বিনিময় হার আরও নমনীয় করা হয়, তাহলে দেশের পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক থাকবে এবং বাইরের যেকোনো বড় ধাক্কা সামাল দেওয়ার শক্তি অর্থনীতির মধ্যে তৈরি হবে।’
এ সময় ঋণের শর্ত হিসেবে বাংলাদেশের রাজস্ব আহরণ পরিস্থিতিতে আইএমএফ সন্তুষ্ট নয় বলেও জানানো হয়।
আইএমএফ মিশন চিফ বলেন, ‘বিশ্বে অনিশ্চয়তা বাড়ায় বাংলাদেশের অর্থনীতি চাপে পড়েছে। ২০২৫ সালের শুরুর দিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ৩.৩ শতাংশে, যেখানে আগের বছর ছিল ৫.১ শতাংশ। জনঅসন্তোষ, কঠোর নীতিমালা ও বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা এই অবস্থার কারণ।’
এর আগে প্রতিবার মিশন শেষে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সই হলেও এবার তা হয়নি। তবে, আলোচনার দরজা খোলা আছে বলে জানালেন মিশনের প্রধান।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ