Publish: Wednesday, 23 April, 2025, 6:05 PM

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছুরিকাঘাতে হত্যার মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মো. হৃদয় মিয়াজীর সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
আসামি মো. হৃদয় মিয়াজী তিতাস উপজেলার দুর্লব্দী গ্রামের বাসিন্দা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বনানী থানার কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব বলে জানা গেছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী। অন্যদিকে আসামির রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আসামির জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
এর আগে ২১ এপ্রিল একই আদালত এ মামলায় আরও তিন আসামির সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেদিন রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- আল কামাল শেখ, আলভী হোসান জুনায়েদ এবং আল আমিন সানি। গত ২০ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ তিনজনই মামলার সন্দেহভাজন আসামি।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল বিকাল ৪টার পর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ওই ঘটনার এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে জাহিদুল ইসলাম পারভেজ নিহত হন। এ ঘটনার পরের দিন ২০ এপ্রিল পারভেজের ফুফাতো ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি ও ইংরেজি বিভাগের তিন ছাত্র মাহাথি, মেহেরাব, আবুজর গিফারীসহ আটজনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ