আর্থিক সামর্থ্য কম থাকায় সরকারের ভর্তুকি কমাতে এবারের গরমেও লোডশেডিং করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তবে সহনীয় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে শহর ও গ্রামে সমানভাবে লোডশেডিং করা হবে।
আর অর্থের অভাবে এলএনজি আনতে না পারায় চাহিদা অনুযায়ী গ্যাসও দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানান উপদেষ্টা।
রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে এক সাংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন তিনি।
গতকাল শনিবার বিকেল পৌনে ছয়টায় একযোগে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে বরিশাল বিভাগের সব জেলা আর খুলনা বিভাগের কিছু অংশ। জাতীয় গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ওই অঞ্চলের বিদ্যুৎ সংযোগ। কারিগরি ত্রুটির প্রাথমিক সমাধান করে ৪০ মিনিট পর থেকে ধীরে ধীরে ফিরতে থাকে বিদ্যুৎ সংযোগ। মধ্যরাতের আগেই প্রায় সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
উপদেষ্টা জানান, এই দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে বুয়েটের উপ-উপাচার্যকে আহবায়ক করে আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দায় থাকলে কমিটি তাও খুঁজে দেখবে।
দেশে এখন ১৮ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াটের বেশি উৎপাদন করা যাচ্ছেনা। কারণটা আর্থিক জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, তাই লোডশেডিং থেকেও রেহাই মিলবে না।
এ সময় তার কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, বাসা-বাড়ি, শিল্প কারখানা, সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সংকট নিয়েও।
তিনি বলেন, আমাদের গ্যাসের উৎপাদন কমে যাচ্ছে, আবার এলএনজি আনতে যে আর্থিক সামর্থ প্রয়োজন তাও কম। তাই চাহিদা অনু্যায়ী গ্যাস দেওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে শনিবার সন্ধ্যায় দেড় ঘণ্টা মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ থাকার কারণ খুঁজতে ড. সামছুল আলমকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান উপদেষ্টা।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ