রাত ১টায় মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে প্যারিস সাঁ জার্মেই (পিএসজি) ও ইন্টার মিলান। ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো ট্রেবল জয়ের হাতছানি পিএসজির সামনে। তবে ১৫ বছরের শিরোপা খরা কাটিয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে চায় ইতালিয়ান জায়ান্ট ইন্টার মিলান।

নতুন ফরম্যাটে ১৮৯টি ম্যাচের পর চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণের পালা। পিএসজি ইতিহাস গড়তে মরিয়া। মিউনিখের মাঠেও তাদের জন্য ইতিবাচক এক রেকর্ড—এ পর্যন্ত এই শহরে হওয়া চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে সববারই নতুন চ্যাম্পিয়ন পেয়েছে ইউরোপ। দু’দলের অতীত পাঁচ দেখায় তিনবার জয়ী হয়েছে পিএসজি।

লা পারিসিয়ানদের কোচ লুইস এনরিকে বলেন, “প্যারিসের ফুটবল ইতিহাস গড়াই আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। আমরা পুরো মৌসুমজুড়েই সাহসী ফুটবল খেলেছি। এখন সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে চাই।”

অন্যদিকে ইন্টার মিলানের কোচ ফিলিপে ইনজাঘি বলেন, “ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের অভিজ্ঞতা হয়নি। কোচ হিসেবে ইন্টারকে দুবার এখানে এনেছি। তবে শিরোপা না জিতলে সবই ব্যর্থ মনে হবে।”

২০২০ সালের পর আবারও ফাইনালে উঠেছে ইন্টার। এবারও পথে একের পর এক ইউরোপিয়ান জায়ান্টকে হারিয়ে এসেছে তারা। মিউনিখ থেকে খালি হাতে ফিরতে চায় না ‘নেরাজ্জুরি’ শিবির।

এই ম্যাচ নির্ধারণ করে দিতে পারে ব্যালন ডি’অরের ভাগ্যও। শিরোপা জিতলে আলোচনায় থাকবেন পিএসজির ফ্রেঞ্চ তারকা উসমান দেম্বেলে এবং ইন্টারের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্টিনেজ।

দেম্বেলে বলেন, “সবাই জানে পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিগত পুরস্কারের চেয়ে দলের জয়ই এখন সবচেয়ে বড় চিন্তা।”

লাউতারো জানান, “চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম স্বপ্ন। ইউরোপ সেরার ট্রফি এবার ইন্টারে ফেরাতে চাই।”

ফাইনাল শুরুর আগে দর্শকদের মাতাতে পারফর্ম করবে জনপ্রিয় রক ব্যান্ড লিনকিন পার্ক।

ডার্ক টু হোপ/এসএইচ