Publish: Sunday, 1 June, 2025, 12:03 PM

গাবতলী হাট ইজারায় অনিয়মের অভিযোগের পর এবার রাজধানীর দিয়াবাড়ি কোরবানির পশুর হাট নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মো. এজাজ। অভিযোগ উঠেছে, পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে ইজারা পাইয়ে দিতে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় নানা অনিয়ম করেছেন তিনি। এতে মোটা অঙ্কের লেনদেনও হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইজারাবঞ্চিত প্রতিষ্ঠান ‘চায়না বাংলা ট্রেড লিংক’-এর মালিক মিজানুজ্জামান রুবেল।
অভিযোগে বলা হয়, দুই দরদাতার মধ্যে ‘এসএ ব্রাদার্স’ পে-অর্ডার জমা না দিয়েও ইজারা পেয়েছে, যা টেন্ডারের শর্ত লঙ্ঘনের স্পষ্ট উদাহরণ। অপরদিকে, ‘চায়না বাংলা ট্রেড লিংক’ নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম দর দিলেও নিয়ম অনুযায়ী টেন্ডার বাতিল করে পুনরায় আহ্বান করা উচিত ছিল। কিন্তু ডিএনসিসি পুরনো তারিখ দেখিয়ে এসএ ব্রাদার্সকে ইজারা দিয়েছে, যার পেছনে প্রশাসক মো. এজাজ ও রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মামুনের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ।
এ প্রসঙ্গে রুবেল বলেন, “আমরা নিয়ম মেনেই রি-টেন্ডারের আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সেটি আমলে না নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এসএ ব্রাদার্সকে হাট বুঝিয়ে দিয়েছে সিটি করপোরেশন। ওয়ার্ক অর্ডার ছাড়াই তারা ইজারা আদায় শুরু করেছে।”
সাংবাদিক জুলকারনাইন খান সামি তার ফেসবুক পোস্টে প্রশাসক মো. এজাজের বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি লিখেছেন, “নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সাবেক সদস্য এজাজ একটার পর একটা হাট ইজারায় অনিয়ম করছেন। এত অভিযোগের পরও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শীর্ষ মহল কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”
তিনি আরও দাবি করেন, এজাজ পূর্বে একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সেনাবাহিনী কাজ করবে বলে ভুল তথ্য দিয়ে পরে ক্ষমা চাইতেও হয় তাকে, যখন সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, তারা কখনো এ কাজে জড়িত ছিল না বা হবে না।
এদিকে গাবতলী হাট ইজারাতেও সর্বোচ্চ দরদাতা থাকা সত্ত্বেও অন্যকে ইজারা না দিয়ে সিটি করপোরেশন নিজে আদায় শুরু করায় প্রশাসক মো. এজাজ তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে প্রশাসকের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ