দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় শেষ ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক বেসামরিক মানুষ।
বার্তাসংস্থা আনাদুলো মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০টি মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছেন আরও ২০৮ জন, ফলে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৯০১ জনে। বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছেন। উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৪ হাজার ৫১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
গাজার মিডিয়া অফিস আগেই জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা উত্তর গাজা অঞ্চলের এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংস করেছে। পাশাপাশি, ওই এলাকার ৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে গাজা সিটির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, যেখানে তাদের আশ্রয় দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামোই নেই।
এদিকে দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দুই মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
জাতিসংঘের মতে, দখলদার ইসরায়েলের নির্বিচার আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে অধিকাংশ অবকাঠামো।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ