Publish: Sunday, 19 October, 2025, 12:55 AM

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এসেছে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত ৮টা ৫৩ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার দুপুর ২টা ১৫মিনিটে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দ্রুত ও সমন্বিত পদক্ষেপে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ প্রাণ হারায়নি বলেও নিশ্চিত করেছে মন্ত্রণালয়।
কার্গো ভিলেজ মূলত শুল্কায়ন (কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স) প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের অস্থায়ী সংরক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আমদানি ও রপ্তানির জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা কমপ্লেক্স, যার মধ্যে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে আমদানি অংশে।
এই কার্গো ভিলেজ মূলত আন্তর্জাতিক আমদানিকৃত পণ্যসামগ্রীর গুদাম হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। এখানে বৈচিত্র্যময় ও উচ্চমূল্যের নানা ধরনের পণ্য সংরক্ষিত থাকে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের আমদানি কমপ্লেক্সে যেসব পণ্য সাধারণত রাখা হয়, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী; ইলেকট্রনিকস ও যন্ত্রাংশ (মোবাইল, ল্যাপটপ, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি); তৈরি পোশাক ও কাপড়; হালকা ও মাঝারি মেশিনারি; বাণিজ্যিক কুরিয়ার ও ডকুমেন্টস;। আন্তর্জাতিক অনলাইন কেনাকাটার পণ্য (যেমন-ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে আনা গেজেট, অ্যাকসেসরিজ ইত্যাদি)।
এ বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার এক্সপ্রেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএইএবি) সভাপতি কবির আহমেদ জানান, বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে লাগা আগুনে বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানি করা ওষুধ, ইলেকট্রনিক পণ্য ও অন্যান্য সামগ্রীর কারণে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বেন, এমনটাই আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিমা কাভারেজ থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের দাবি নিষ্পত্তি করতে দীর্ঘ সময় লাগে, ফলে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ