যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শপথ নেন তিনি। এর মধ্যে দিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেন ট্রাম্প।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ট্রাম্প বলেছেন, বেশ কিছু নির্বাহী আদেশ জারি করতে যাচ্ছেন তিনি। তার মধ্যে রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে তিনি জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করবেন।
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন।
সেই সঙ্গে যে 'লাখ লাখ অপরাধী' অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে, তারা যেখান থেকে এসেছে, সেখানে ফেরত পাঠানো হবে।
এর পাশাপাশি ট্রাম্প রিমেইন ইন মেক্সিকো বা ‘মেক্সিকোতেই থাকো’ নীতি তিনি পুনরায় কার্যকর করবেন বলে জানিয়েছেন। সীমান্ত এলাকায় আরো সেনা ও জনবল পাঠানো হবে বলেও তিনি ঘোষণা দিয়েছেন।
মাদকচক্র বা কার্টেলগুলোকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা হবে এসব নির্বাহী আদেশে।
‘এলিয়েনস এনিমিস অ্যাক্ট অব ১৭৯৮’ পুনর্বহাল করা হবে, যাতে কেন্দ্রীয় ও অঙ্গরাজ্যগুলো ‘যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বিদেশি গ্যাংগুলো’ দমনে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে পারে।
শপথগ্রহণের দিনটিকে তিনি ‘মুক্তির দিন’ বলে বর্ণনা করেন। ট্রাম্প বলেন, “আজ থেকে আবার আমেকিার স্বর্ণালি যুগের শুরু। অসম্ভবকে সম্ভব করাই আমার কাজ, আমেরিকার কাজ।”
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শপথের দিন মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে আমেরিকা উপসাগর রাখবেন বলেও জানিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, “আমেরিকা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ, সবচেয়ে শক্তিশালী, সবচেয়ে সম্মানিত জাতি হিসেবে তার ন্যায্য স্থান পুনরুদ্ধার করবে- যা সমগ্র বিশ্বের বিস্ময় এবং প্রশংসাকে অনুপ্রাণিত করবে। কিছুক্ষণ পরেই, আমরা মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে আমেরিকা উপসাগর করতে যাচ্ছি।”
এদিকে, মেক্সিকোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোজা আইসেলা রদ্রিগেজ সোমবার ‘মেক্সিকো আলিঙ্গন তোমাকে’ নামে একটি প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। এই প্রকল্প ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত হতে পারে এমন মেক্সিকান নাগরিকদের সহায়তা প্রদান করবে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ