গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরুর পরও মৃত মানুষের সারি লম্বা হচ্ছে। ইসরায়েলি হামলা না থাকলেও গত ১৫ মাসে চলা আগ্রাসনের ফলে প্রাণ হারানো অন্তত ৭২টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে যে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭২টি মরদেহ হাসপাতালে পৌঁছেছে। সিভিল ডিফেন্স দলগুলো যুদ্ধবিরতির আগে ইসরায়েলের হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত এলাকায় অনুসন্ধান করেছে। এ সময় অন্তত ৭২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আল জাজিরা বলছে, এই উদ্ধার প্রচেষ্টাগুলো ধ্বংসাবশেষ এবং রাস্তা ব্যবহার করতে না পারার কারণে জটিল হয়ে উঠছে। ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে উপত্যকার বেশিরভাগ অংশ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি দৈনিক পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে বলেছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনের গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ১০৭ জনে। এসব হামলায় আহত হয়েছেন এক লাখ ১১ হাজার ১৪৭ জন ফিলিস্তিনি।
এদিকে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। তবে নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালের দিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, তাদের সৈন্য, পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো একটি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করেছে। তবে তারা আর বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
এই হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে আইডিএফের (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) প্রধান অভিযান আমাদের নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনের আরেকটি ধাপ, যা জুদিয়া ও সামারিয়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা। পশ্চিম তীরকে ইসরায়েল জুদিয়া ও সামারিয়া নামে ডাকে।
ডার্ক টু হোপ/এসএই