আদালতে আত্মসমর্পণের পর জমিন পেয়ে খুশিতে কাঁদলেন আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। দাবি করলেন, একদম শুরু থেকেই তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তার বিশ্বাস, ‘সত্যের জয় হবেই।’
আজ সোমবার সকালে আদালতে হাজির হয়ে নায়িকা বলেন, ‘আমার বিশ্বাস ছিল, সেই বিশ্বাস থেকেই এখানে আসা। আপনারা সবাই শুরু থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়েছেন। আমাকে নিয়ে আপনারা ভেবেছেন, সেটা দেখে নিজের কষ্ট ভুলে গেছি।’
পরীমনি আরও বলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসায় আজ জামিন নিয়ে বাসায় ফিরছি। আমি একটি মামলা করলাম, তার পাল্টা মামলা করা হয়েছে। তবে আমি ন্যায়বিচার পাবো। সত্যের জয় হবেই।’
বোট ক্লাবে ভাঙচুর, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলায় সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন পরীমনি। আদালত এক হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গতকাল রোববার একই আদালত ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের মামলায় পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আদেশ দেন। একইসঙ্গে আসামিরা এদিন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পাশাপাশি আগামী ২০ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে গত ২৫ জুন এই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন পরীমনি। শুনানি শেষে তাকে জামিন দেন ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত।
গত বছরের ১৮ মার্চ ব্যবসায়ী নাসিরের করা এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
পরীমনি ও জিমির বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এরপর গত ১৮ এপ্রিল ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত দুই আসামিকে ২৫ জুন আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
পরীমনির বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ