রাজধানীর কোতয়ালি এলাকার কোর্ট বিল্ডিংয়ের সামনে থেকে এক কেজি স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৯২৮ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের ছয় সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-বিধান চন্দ্র বিশ্বাস, সবুজ হাওলাদার, আল আমিন খান, তরিকুল ইসলাম, শফিকুল রহমান চুন্নু ও আজিম উদ্দিন। গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ছিনতাই হওয়া ৯২৮ গ্রাম স্বর্ণ, বিভিন্ন মডেলের চারটি মোবাইল ফোন ও তিনটি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী জেলার বাউফল ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ তালেবুর রহমান।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ নভেম্বর কোতয়ালি থানাধীন তাঁতিবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রদেশ বাবুর স্বর্ণের দোকান থেকে তার কর্মচারী রাজীব দাস বিক্রিত এক কেজি স্বর্ণ সরবরাহ করার জন্য রওনা দেয়। রাত সাড়ে নয়টায় দায়রা আদালত ভবনের সামনে পৌঁছলে একদল দুষ্কৃতকারী পথরোধ করে তার কাছে থাকা স্বর্ণ ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ওই সময় ছিনতাইকারীদের আঘাতে রাজীব দাস আহত হন।
এ ঘটনায় গত ২৮ নভেম্বর রাজীব দাস বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি গত ২৮ ডিসেম্বর ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগে হস্তান্তরিত হয়।
গত ২৯ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা বিধান বিশ্বাসকে লুণ্ঠিত ৫৮০ গ্রাম স্বর্ণসহ গ্রেফতার করা হয়। বিধান বিশ্বাসের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সবুজ সরকার, তরিকুল ইসলাম ও আজিমকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ৩৪৮ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডিবিকে জানায়, কালিপদ নামে এক ব্যক্তি স্বর্ণ সরবরাহ করার সংবাদটি মূল ছিনতাইকারী চক্রের কাছে পাঠায়। পরে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা ঘটনাস্থলে একত্রিত হয়ে রাজীব দাসকে আঘাত করে তার কাছে থাকা স্বর্ণ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ