Publish: Monday, 3 February, 2025, 11:00 PM
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রায় ৭ ঘণ্টা পর সারাদেশের সঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টা দিকে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন স্টেশন মাস্টার শাহাদাত হোসেন।
স্টেশন মাস্টার বলেন, এখনও পর্যন্ত ১৬টি ট্রেন বিলম্ব হয়েছে। লাইন ক্লিয়ার হলে আমরা সব ট্রেন ছেড়ে দিবো। এখনও শিডিউল করা হয়নি। ওইপাশে ক্লিয়ার হলে শিডিউল সাজানো হবে।
বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, বিমানবন্দর স্টেশনে আটকে থাকা এগারসিন্ধুর এক্সপ্রেস ট্রেন ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। তেজগাঁও স্টেশনে আটকে থাকা নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস ৯টা ৫০মিনিটের পরে বিমানবন্দর স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আন্দোলনরত তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীরা রেল লাইন অবরোধ করে রাখলে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এসে বিপাকে পড়েছিলো যাত্রীরা। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল থেকে ট্রেন বন্ধ থাকায় এ ভোগান্তিতে পোহাতে হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়া যাত্রীদের।
জানা যায়, বিকাল ৩টা থেকে রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত ১৬টি ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হয়েছে। এরমধ্যে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া সিল্কসিটি ট্রেনটি মহাখালীতে বাঁধার মুখে পড়লে আবারও কমলাপুর স্টেশনে ফিরে আসে।
রাত সাড়ে ৮টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, ট্রেন ছাড়ার অপেক্ষায় আছেন যাত্রীরা। বসার জায়গা না পেয়ে অনেকে স্টেশনের ফ্লোরে বসে পড়েছেন। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বেশি। অনেকে স্টেশন মাস্টারের রুমে ও তথ্য কেন্দ্রে ভিড় করছেন ট্রেন ছাড়ার সময় জানতে। দীর্ঘসময় অপেক্ষার পর হতাশ হয়ে বিকল্প পথে গন্তব্যে যাওয়ার উদ্দেশে স্টেশন ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
এদিকে বিকাল ৫টা থেকে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা অবরুদ্ধ করে রাখে স্টেশন মাস্টার শাহাদাত হোসেনকে। পরে রাত ৮টা ৫০ মিনিটে তিনি মুক্ত হন। এরআগে রাত ৮টার দিকে তিনি যাত্রীদের বলেন, যত রাত হোক ট্রেন ছাড়বে। আর যাদের জরুরি তারা কাউন্টারে টিকিট জমা দিয়ে টাকা নিতে পারেন।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ