Publish: Saturday, 22 February, 2025, 11:52 PM

পড়াশোনা থেকে শুরু করে অফিস-আদালত, শপিংমল, ফ্রিল্যান্সিং কিংবা যেকোন জরুরি অফিশিয়াল কাজের জন্যেই হোক ল্যাপটপ আজকাল একটি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মতোই অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে।
বর্তমান বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন কন্ডিশনের ল্যাপটপ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কন্ডিশন হচ্ছে নতুন ল্যাপটপ, পুরাতন বা ইউজড ল্যাপটপ, ও রিকন্ডিশন ল্যাপটপ।
এই সময়ে বাজারে গেলে লক্ষ্য করা যায় যে নতুন ল্যাপটপ এর চেয়ে ইউজড ল্যাপটপ, ও রিকন্ডিশন ল্যাপটপ এর ক্রেতা ও বিক্রেতার সংখ্যা বেশি। এর মূল কারন হচ্ছে নতুন ল্যাপটপ এর দামের চেয়ে ৪০ শতাংশ কম দামে ইউজড ল্যাপটপ, ও রিকন্ডিশন ল্যাপটপ পাওয়া যায়। এই কন্ডিশনের ল্যাপটপ ক্রয় করতে হলে যে সকল বিষয় মাথায় রেখে ল্যাপটপ নির্বাচন করতে হবে তা হলঃ-
প্রসেসর
৪০ শতাংশ এরও সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো মানের ল্যাপটপ ক্রয় করতে চাইলে অবশ্যই ল্যাপটপটির প্রসেসর বা সিপিইউ সম্পর্কে জেনে নিবেন। ল্যাপটপের প্রসেসরের ক্ষেত্রে লেটেস্ট প্রসেসর সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি। বর্তমানে বাজারে ইন্টেল কোর আই-৭, কোর আই-৩, কোর আই-৪, কোর আই-৯ এর প্রসেসরগুলো অনেক বেশি ভালো হয়ে থাকে। আর বাজেটের মধ্যে ল্যাপটপ কিনতে চাইলে এই ধরনের প্রসেসর গুলো মোটামুটিভাবে ভালো পার্ফম্যান্স দিয়ে থাকে।
র্যাম ও স্টোরেজ
র্যাম ও স্টোরেজ ল্যাপটপের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে র্যাম ও স্টোরেজ নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে সেটি হচ্ছে র্যাম যাতে সর্বোচ্চ ৮ জিবি হয়ে থাকে। আর একটি ল্যাপটপের স্পীড মূলত নির্ভর করে ল্যাপটপের HDD, SSD এবং প্রসেসর, র্যাম এদের উপর। সাধারণত, একটি HDD এর তুলনায় SSD অনেক বেশি দ্রুতগতি সম্পন্ন হয়ে থাকে। তাই দেখেশুনে নির্বাচন করাই ভালো হবে।
ডিসপ্লে সাইজ
সাধারণত ল্যাপটপের ডিসপ্লে ও ল্যাপটপের অন্যান্য সব ফিচারের মতোই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কম দামের ল্যাপটপ কেনার আগে ল্যাপটপের সাইজ কমপক্ষে ১৩৬৬×৭৬৮ এবং ১৯২০×১০৮০ সাইজের নেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে ডিসপ্লে আসবে একদম পার্ফেক্টভাবে। এর পাশাপাশি, দেখে নিবেন ল্যাপটপে বিল্ট ইন গ্রাফিক্স লাগানো আছে কিনা। এতে করে, আপনি কিছুটা হলেও হালকা পাতলা গ্রাফিক্সের কাজ করতে পারবেন।
সাইজ এবং ওয়েট
আপনি ঠিক কোন ধরনের ল্যাপটপ কিনছেন এবং তা ঠিক কোন কাজের জন্যে ব্যবহার করছেন তার উপর ভিত্তি করে সাইজ এবং ওয়েট নির্ধারণ করুন। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, বেশি ভারী ল্যাপটপ গুলো সাইজেও বড় হয়ে থাকে।
এ ধরনের ল্যাপটপ যদি আপনি কোথাও সামনে রেখে বা বসে ব্যবহার করেন তাহলে আপনাকে খুব ঝক্কি সামলাতে হবেনা। তবে সবসময় বাইরে ট্রাভেলিং এর জন্য একটু ছোট সাইজের, কম ভারী ল্যাপটপ নির্ধারণ করাই শ্রেয় বলে আমি মনে করি। কম দামের মধ্যে ১৫ ইঞ্চি সাইজের ল্যাপটপই অনেক বেশি মানানসই এবং স্ট্যান্ডার্ড একটি সাইজ বলা চলে।
ল্যাপটপ ব্র্যান্ড
৪০ শতাংশ সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো মানের ল্যাপটপের ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে HP, Dell, Asus ইত্যাদি ব্র্যান্ডগুলোকে তালিকায় রাখতে পারেন। বাজেট ফ্রেন্ডলি দামে এ ধরনের ল্যাপটপগুলো আপনাকে সর্বোচ্চ মানের সুবিধা প্রদান করতে সক্ষম হবেন।
অপারেটিং সিস্টেম
ল্যাপটপের অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে আমাদের সকলের আস্থা রাখা উচিৎ Windows 10 pro এর ভার্সনগুলোতে। এছাড়াও আরেকটু বাজেট ফ্রেন্ডলি অপারেটিং সিস্টেমের খোঁজ থাকলে আপনি Windows 10 home ও বেছে নিতে পারেন।
ব্যাটারী ব্যাক-আপঃ
ইউজড ল্যাপটপ কিংবা রিফারবিশড ল্যাপটপ এর জন্য ব্যাটারী ব্যাকআপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা ল্যাপটপ ক্রয় করি পোর্টেবিলিটি এর জন্য। যদি ল্যাপটপে ব্যাটারী ব্যাক-ক্যাপাসিটি কম হয় তাহলে এটি নিয়ে কাজ করাটা কঠিন হবে। তাই ইউজড কিংবা রিফারবিশড ল্যাপটপ কেনার আগের ব্যাটারী ভালোভাবে চেক করে নিতে হবে যাতে এক চার্জে কমপক্ষে ৩ ঘন্টা ব্যাক-আপ দেওয়ার ক্যাপাসিটি থাকে।
মন্তব্য
এই আর্টিকেল থেকে ৪০ শতাংশ সাশ্রয়ী মূল্যে ল্যাপটপ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে যে সকল বিষয়গুলোতে মনোযোগী হবে তা তুলে ধরা হয়েছে। তাই যেখান থেকেই ল্যাপটপ কিনুন না কেন চেষ্টা করবেন ভালো মানের একটি ল্যাপটপ ক্রয় করার এবং তার মধ্যে যেন প্রয়োজনীয় সমস্ত ফিচার থাকে সেটিও খেয়াল রাখতে হবে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ