রহমত, বরকত, ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির পয়গাম নিয়ে এসে গেছে পবিত্র রমজান মাস। তারাবি নামাজের মধ্য দিয়ে শনিবার (১ মার্চ) রাত থেকে শুরু হয়েছে মাহে রমজানের আনুষ্ঠানিকতা। প্রথম তারাবিকে কেন্দ্র করে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ পাড়া-মহল্লার মসজিদেও ঢল নেমেছে মুসল্লিদের।
ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ পাড়া-মহল্লার মসজিদেও তিল ধারণের জায়গা নেই। কোনো কোনো মসজিদের আঙিনা ছাড়িয়ে রাস্তায় জায়নামাজ, চাদর ও পাটি বিছিয়েও মুসল্লিদের তারাবির নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে।
বায়তুল মোকাররমে দেখা গেছে, এশার নামাজ শুরুর আগে থেকেই মুসল্লিরা মসজিদে এসে সারিবদ্ধভাবে জমায়েত হন।
প্রতি বছরের মতো এবারও রমজান মাসে মসজিদে খতমে তারাবি পড়ানোর বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। নির্দেশনা অনুযায়ী, তারাবির নামাজে প্রথম ছয় রমজানে কোরআন শরীফের দেড় পারা এবং পরবর্তী ২১ দিন এক পারা করে পাঠ করতে হবে।
সন্ধ্যায় রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকেই রাজধানীসহ সারাদেশে বিরাজ করছে রোজার আমেজ। ভোরে সেহরি খেয়ে এবারের প্রথম রোজা রাখবেন মুসল্লিরা।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল ২ মার্চ রোববার থেকে পবিত্র রমজান মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ২৬ রমজান (২৭ মার্চ) পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে সংযম, আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগের মাস রমজান। এই মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে রোজা পালন করেন মুসলমানরা। এছাড়া মর্যাদাবান এই মাসের শেষ অংশে রয়েছে হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম কদরের রাত। সবশেষ এক মাসের সিয়াম সাধনা শেষে মুসলমানরা উদযাপন করবেন ঈদুল ফিতর।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ