সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে স্পিন জাদু দেখিয়েছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। ক্যারিয়ারের ১১তম বারের মতো ৫ উইকেটের (ফাইফার) দেখা পেয়েছেন তিনি। এটি তাঁর দেশের মাটিতে প্রায় আড়াই বছর এবং ম্যাচের হিসাবে ৮ ম্যাচ পর প্রথম টেস্ট ফাইফার। মিরাজের এই দারুণ বোলিং নৈপুণ্যে জিম্বাবুয়েকে তাদের প্রথম ইনিংসে ২৭৩ রানে আটকে রাখতে সমর্থ হয় টাইগাররা। এর আগে ২০২২ সালে ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সবশেষ ৫ উইকেট নিয়েছিলেন মিরাজ। তবে টেস্টে গত বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে দেশের বাইরেও ৫ উইকেট পেয়েছেন তিনি।
দেশের মাটিতে এমন একটি অর্জন স্মরণীয় করে রাখার মতো কোনো অনার্স বোর্ড বাংলাদেশের ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলোতে না থাকায় কিছুটা আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন মিরাজ। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘একটা জিনিস দেখেন,প্রত্যেকটা মানুষের অর্জন একটা ভালো লাগার বিষয়। অর্জন কিন্তু..একদিনে আসে না। কষ্ট করতে হয়,তারপর অর্জনটা আসে। যেটা বললেন যে..রাওয়ালপিন্ডিতে ওখানে…৫ উইকেট পেয়েছিলাম। আর… নাম দেখেছি,ভালো লেগেছে,যখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে গেছি।’
এরপর তিনি যোগ করেন,‘আর তারপরে যেটা বললেন বাংলাদেশে… আমার কাছে যেটা মনে হয় যে এই ট্রেডিশনটা চালু করা উচিত। আর যারা এখন বর্তমানে আছেন,আশা করি তারা এটা নিয়ে চিন্তা করবে।’ বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডারের মতে এমন অনার্স বোর্ড খেলোয়াড়দের জন্য একটি বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।
সিলেটে ৫ উইকেট প্রাপ্তি নিয়ে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে মিরাজ বলেন,‘অবশ্যই উইকেট পেলে তো সবারই ভালো লাগে। দিনশেষে… যেহেতু… হোমে খেলা,আর… এক্সেপেক্টেশনটা আমার নিজের কাছেও অতটা হাই ছিল না। চেষ্টা ছিল ঠিক জায়গা বল করা,টিমকে ভালো সাপোর্ট করা। আর… ৫ উইকেট পেতে তো অবশ্যই ভালো জায়গায় বল করতে হবে। একই সঙ্গে ভাগ্যও পক্ষে থাকা লাগবে।’
এই ৫ উইকেটের সুবাদে টেস্ট ক্যারিয়ারে উইকেটের ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করার আরও কাছে চলে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই মাইলফলক ছুঁতে তাঁর প্রয়োজন আর মাত্র ৫ উইকেট।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ