ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমে হওয়া একটি ম্যাচের স্টাম্পিং আউট নিয়ে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের সূত্রে বিসিবির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত হয়েছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল সেই প্রতিবেদন হাতে পেয়েছেন।
প্রতিবেদনে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের উইকেটরক্ষক ব্যাটার মিনহাজুল আবেদীন সাব্বিরের বিরুদ্ধে বিসিবি অ্যান্টি করাপশন কোডের তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। একটি গণমাধ্যমের হাতে আসা ১০ পৃষ্ঠার রিপোর্টে দেখা যায় এই ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যে জড়িত সন্দেহে পাঁচ বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
রিপোর্টে আরও বলা হয় তদন্তে মিনহাজুলের মোবাইল ফরেনসিক করেও সরাসরি ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এদিকে মিনহাজুল বরাবরই ফিক্সিং করার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছেন।
স্টাম্পিংয়ের যে ঘটনা নিয়ে এতকিছু তা গত ৯ এপ্রিলের। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের মুখোমুখি হয়েছিল শাইনপুকুর। ওই ম্যাচের একটি অদ্ভুত স্ট্যাম্পিং নিয়ে ক্রিকেট মহলে বেশ সমালোচনা হয়। এতে নড়েচড়ে বসে বিসিবি। দুই ক্রিকেটার উইকেট রক্ষক আলিফ ও মিনহাজুলকে তদন্তের জন্য মিরপুর অ্যাকাডেমি মাঠে নিয়ে ঘটনার পুনরাবৃত্তি করানো হয়। পরে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফরেনসিক করেও ফিক্সিংয়ের কোনও সূত্র পাওয়া যায়নি।
তবে প্রাসঙ্গিক কিছু বিষয়ের কারণে মিনহাজুলের বিপক্ষে বিসিবি অ্যান্টি করাপশন কোডের কোডের ১.১.১ (যেখানে বলা হয়েছে ম্যাচের ফলাফল বা যে কোনও অংশকে গড়াপেটা বা অন্যায়ভাবে প্রভাবিত করা), ২.৪.২ (দুর্নীতি বা ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন রাখা) ও ২.৪.৭ (দুর্নীতির প্রস্তাব বা ফিক্সিং চেষ্টা সম্পর্কিত বার্তা লুকিয়ে রাখা এবং প্রমাণ ইচ্ছাকৃতভাবে মুছে ফেলা বা নষ্ট করা) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অপরাধের কারণে ন্যূনতম পাঁচ বছর থেকে সর্বোচ্চ আজীবন নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত দেওয়া যেতে পারে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ