অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ, বদলি ও শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্ব পুরোপুরি সুপ্রিম কোর্টের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তিন মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২০১৭ সালে প্রণীত বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধিকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হয়। ফলে এখন থেকে বিচারকদের বদলি বা শৃঙ্খলা বিষয়ক সিদ্ধান্তে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টকে অনুমতির জন্য আর যেতে হবে না।
এর আগে সকাল ১১টায় রায় ঘোষণা শুরু হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শরীফ ভূইয়া এবং ইন্টারভেনর হিসেবে অংশ নেন আইনজীবী আহসানুল করিম।
সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ ও ২০১৭ সালের জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং পৃথক সচিবালয় গঠনের নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ২৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের সাত আইনজীবী রিটটি করেন। তাঁরা হলেন—মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মো. জহিরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আমিনুল ইসলাম শাকিল ও যায়েদ বিন আমজাদ।
এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে। রুলে কেন ১১৬ অনুচ্ছেদ ও ২০১৭ সালের বিধিমালা সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং কেন পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে না—তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবদ্বয় ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জবাব দিতে বলা হয়।
পরে রুল শুনানি শেষে আজ (২ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্ট এ ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ