আজ রোববার শুভ মহালয়া। সনাতন ধর্মাবলম্বী বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গোৎসবের সূচনা হলো এ দিন থেকেই।
দেবীপক্ষের প্রথম দিন হিসেবে মহালয়ায় চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
ভোরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মন্দিরে দেবীর আরাধনা ও তর্পণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয় মহালয়া।
হিন্দু বিশ্বাস মতে, মহালয়া থেকেই দেব-দেবীকুল দুর্গাপূজার জন্য জাগ্রত হন। ভক্তরা গঙ্গাতীরে তর্পণের মাধ্যমে মৃত আত্মীয়-স্বজন ও পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর মহাসপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর মহাষ্টমী ও কুমারীপূজা, ১ অক্টোবর মহানবমী এবং ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনের দুর্গোৎসব।
সনাতন পঞ্জিকা অনুযায়ী, এ বছর দেবী দুর্গা হাতিতে চড়ে মর্ত্যলোকে আগমন করবেন, যা শস্যপূর্ণ বসুন্ধরার বার্তা বহন করে। তবে দেবীর গমন হবে পালকিতে, যা অশুভ লক্ষণ হিসেবে পরিচিত, যার অর্থ রোগবালাই ও দুর্যোগের আশঙ্কা বৃদ্ধি।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এবার সারাদেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে, যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার ১১৯টি বেশি। রাজধানী ঢাকায় পূজামণ্ডপের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫৮টি, গতবার ছিল ২৫৩টি।
মহালয়া উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, বনানী মাঠ, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠসহ রাজধানীর বিভিন্ন মন্দির ও পূজামণ্ডপে চণ্ডীপাঠ, ভক্তিমূলক সংগীত, ধর্মীয় আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ