কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে একটি যাত্রীবাহী নৌকায় আগুন ধরার পর সেটি ডুবে অন্তত ১৪৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে আরও কয়েক ডজন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছেন আরব নিউজ।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে নৌকাটি কঙ্গো নদীতে ডুবে যায়। নদী কমিশনার কমপিটেন্ট লোয়োকো নিউজ সংস্থা এপিকে বলেন, মটর চালিত কাঠের নৌকাটি বোঝাইকৃত ৪০০ যাত্রীকে নিয়ে যাওয়ার সময় আগুন ধরে এটি ডুবে যায়। এমবানদাক শহরের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নৌকাটিতে কয়েকজন রান্না করছিলেন। সেখান থেকেই নৌকাটিতে আগুন লেগে যায়। এরপর নারী ও শিশুসহ অনেক যাত্রী সাঁতার না জানা সত্ত্বেয় নদীতে লাফিয়ে পড়েন। পাশাপাশি নৌকা থেকে ১০০ জনকে উদ্ধার করা হয়, এদের মধ্যে অনেকেই মারাত্মকভাবে আগুন পুড়ে গেছেন।
বিশ্বের গভীরতম রুকি এবং বিশাল কঙ্গো নদীর সঙ্গমস্থলে ইকুয়েটার প্রদেশের রাজধানী এমবান্দাকার কাছে এই বিপর্যয় ঘটেছে। ওই অঞ্চলের জাতীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেছেন, "বুধবার ১৩১টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পুড়ে গেছে।
ধ্বংসপ্রাপ্ত জাহাজটিতে মোট কতজন যাত্রী ছিলেন তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে এতে কয়েকশত মানুষ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন লোকুমু। এছাড়া কিছু মানুষকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মধ্য আফ্রিকার এই দেশে বাস্তবসম্মত রাস্তার অভাব রয়েছে। ফলস্বরূপ যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রায়শই হ্রদ, কঙ্গো নদী এবং এর উপনদীর ওপর নির্ভর করে। সেখানে নিয়মিত এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ