মায়ের জানাজায় অংশ নিতে প্যারোলে মুক্তির অনুমতি পাননি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান। সোমবার (২ জুন) রাত সোয়া আটটায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকে তাঁকে দূর থেকে মৃত মায়ের মুখ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। তার অন্য চার ভাই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকায় তারাও আত্মগোপনে । তাই তারাও পাননি মায়ের জানাজায় অংশ নিতে। মায়ের মুখটিও শেষবার দেখার সুযোগ পাননি তারা।
গত সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো এমপি হয়েছিলেন আসাদ। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের কিছুদিন পর তিনি ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হন। এরপর থেকে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি। আসাদুজ্জামানের মা সালেহা বেগম সোমবার বিকেলে ৮০ বছর বয়সে মারা যান।
তার স্বজনরা জানান, মায়ের মৃত্যুর পর বড় ছেলে আসাদুজ্জামান প্যারোলে মুক্তির জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়নি। সুযোগ দেওয়া হয়েছিল কারাফটকে মৃত মায়ের মুখটি শেষবার একনজর দেখার।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান বলেন, আসাদুজ্জামানকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়নি। মানবিক কারণে মরদেহটি অ্যাম্বুলেন্সে করে জেলগেটে এনে দূর থেকে তাকে দেখানো হয়েছে।
প্যারোলের মুক্তি চেয়েও না পাবার বিষয়ে জানতে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারকে কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি।
আসাদুজ্জামান রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তারা সাত ভাই–বোন। মায়ের মুখ শেষ বারের মতো দেখার সুযোগ হয়েছে ছেলে আক্তারুজ্জামানের। তিনি প্রাইভেট কার চালক। তিনি রাজনীতিতে জড়াননি।
স্বজনেরা জানান, বিকেলে বাড়ি গিয়ে মৃত মায়ের মুখ দেখেছিলেন আক্তারুজ্জামান। তবে নিরাপত্তার কারণে তাকে সে সুযোগ দেওয়া হয়নি।
সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় রাজশাহী নগরের মহিষবাথান গোরস্তানের পাশে জানাজা শেষে সালেহা বেগমের লাশ দাফন করা হয়।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ