Publish: Tuesday, 3 June, 2025, 10:50 PM

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কোনো জবাবদিহি করেন না। এমনকি সামনাসামনি যখন কথা বলবেন— উনি প্রশ্নের কোনো জবাব দেন না, হয় মিষ্টি হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন অথবা কোনো কথাই বলেন না।
মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করে ভোট কি হবে। খুব অবাক লাগে না ১০ মাসও যায়নি; একটা গণতান্ত্রিক দেশ গড়ার জন্য আমরা এত রক্ত, জীবন দিয়ে লড়াই করে ভোটের দাবি করেছি, সেই ভোট হবে কিনা সেটা মানুষের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি করেছে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, নির্ভরতার একটি জায়গা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু সর্বশেষ তিনি যে কথা বললেন— ‘একটা দল শুধু নির্বাচন চায়’ এমন ভুল কি তার মানায়? তিনি কি জানতেন না— ইতোমধ্যে ৩০টার বেশি দল ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট চেয়েছে। এই ভুল তো তার হবার কথা না।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, পাঁচবার উনি সব রাজনৈতিক দলকে ডেকেছেন। প্রত্যেকটা বৈঠকের শুরুতেই উনি বলেছেন— উনি খুবই ভালো ফিল করেন যখন তিনি এমন বৈঠক করেন। যখন তিনি হতাশার মধ্যে পড়েন তখন সবাইকে ডেকে কথা বললে তার চিন্তার পরিবর্তন হয়। উনি খুব আশাবাদী হয়ে উঠেন।
যদিও সবাই জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে; তবে কেউই জাতীয় ঐক্যের প্রিন্সিপালগুলো মেইনটেইন করে কথা বলছেন বলে মনে করেন মান্না।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে, প্রতিবেশী দেশ যারা পতিত স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিচ্ছে, মদদ দিচ্ছে। খুবই অ্যালার্মিং বিষয় পুশইনও চালাচ্ছে। পুশইন একসময় একটা যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
এই বিষয়টা বিবেচনায় রেখেই রাজনৈতিক নেতাদের কথা বলতে হবে। বিশেষ করে ক্ষমতায় যারা আছে তাদের আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে।
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের সভাপতিত্বে এবং দলের সহসভাপতি ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, এলডিপির মহাসচিব রেদওয়ান আহমেদ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফওজুল হাকিম ও গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ