মানুষ ভেবেছিল ড. ইউনূস বড় মনের মানুষ, নষ্ট লোকের মত সংকীর্ণ প্রতিশোধ
পরায়ন হবে না । ব্যক্তিগত রাগ, হিংসা, প্রতিশোধ পরায়নাতার উর্ধ্বে উঠে
সত্যিকার নিরপেক্ষভাবে কিছু সাহসী কাজ করে দেশকে সঠিকভাবে চলার ব্যবস্থা
করবেন। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলির সীমাবদ্ধতা হচ্ছে- ভবিষ্যতে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা প্রশাসন পেশী শক্তি ব্যবসায়ী ও মিডিয়ার সাথে ন্যায় অন্যায় সম্পর্ক বজায়
রাখে, যাতে নির্বাচনের সময় তাদের সমর্থন পায়। যেহেতু দেশের প্রধান সমস্যা হল
সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারা সৃষ্টি করা, যদি দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের
ধারাবাহিকতা সৃষ্টি করা যায় তখন দেশ এগিয়ে না যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে
না।
বাংলাদেশের মানুষ মনে করে দেশে বিশ্বাস যোগ্য সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। যে কারণে সারা বছর আন্দোলন এবং প্রতিটি রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতায় দলের ভিতরে-বাইরে সুবিধাবাদী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জায়গা করে নেয়। যার ফলে মানুষের মধ্যে হতাশা বিরাজ করে। এর সমাধানের জন্য মানুষ বড় স্বপ্ন আশা নিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডক্টর ইউনূসকে স্বাগত জানিয়েছিল। মানুষ মনে করেছিল তাদের আকাঙ্ক্ষা কিভাবে পূরণ হবে তা নিশ্চয়ই তিনি ভালোভাবে বুঝবেন। কারণ তিনি উচ্চশিক্ষিত নোবেল লরিয়েট, কথাবার্তায় সব সময় মনে হয় মানব দরদী উচ্চ মানসিকতা সম্পূর্ণ মানুষ। রাজনীতিবিদেরা যত প্রাজ্ঞই হউক না কেন তাদের সীমাবদ্ধতা হলো দলের ও দলের বাইরে অনেক কিছুর সাথে সামঞ্জস্য রেখে চলতে গিয়ে কখনও কখনও দেশের জন্য প্রয়োজনীয় কঠিন সিদ্ধান্তের পরিবর্তে সহনশীল হন। কিন্তু ড. ইউনুসের তো কোন পক্ষ বিপক্ষ বা দল নাই। রাজনৈতিক দলগুলোর যে সীমাবদ্ধতা বা ত্রুটি তা দূর করে একটি উদাহরণ সৃষ্টি করলে, তখন ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলি তা অনুসরণ করার সুযোগ থাকবে না। কারণ তারাও দেশের মঙ্গল চায় এবং ভাল সৃষ্টি অনুসরণ না করলে দেশের মানুষ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করবে। অরাজনৈতিক সরকার কোন দেশের জন্যেই শুভ নয়, এটা যেমন সত্য তেমনি কখনও তারাও কিছু ভালো কাজ করতে পারে যা রাজনৈতিক সরকার গুলি ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও করতে পারে নাই। যেমন নিম্ন আদালত (Lower Judiciary) আলাদা করা রাজনৈতিক সরকার গুলির ইচ্ছা থাকার পরও প্রশাসন বিভাগের সাথে দ্বন্দ্ব এড়ানোর জন্য বার বার চেষ্টা করেও কেউ এ দায়িত্ব নেয় নি। একএগারো সরকার এই কাজটি করেছে এবং তা স্থায়ী হয়ে গেছে। এর ফলে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রচর্চা তরান্বিত করা হয়েছে। যদিও খুব কম লোক এইটা মনে রেখেছেন। কিন্তু দেশ নিয়ে যারা ভাবেন উচ্চ স্তরের নিরপেক্ষ মানুষ তারা ঠিকই মনে রেখেছেন, তাই মানুষ ভেবেছিল ড. ইউনূস বড় মনের মানুষ, নষ্ট লোকের মত সংকীর্ণ প্রতিশোধ পরায়ন হবে না । ব্যক্তিগত রাগ, হিংসা, প্রতিশোধ পরায়নাতার উর্ধ্বে উঠে সত্যিকার নিরপেক্ষভাবে কিছু সাহসী কাজ করে দেশকে সঠিকভাবে চলার ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলির সীমাবদ্ধতা হচ্ছে-ভবিষ্যতে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রশাসন পেশী শক্তি ব্যবসায়ী ও মিডিয়ার সাথে ন্যায় অন্যায় সম্পর্ক বজায় রাখে, যেন নির্বাচনের সময় তাদের সমর্থন পায়। যেহেতু দেশের প্রধান সমস্যা হল সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারা সৃষ্টি করা, যদি দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারাবাহিকতা সৃষ্টি করা যায় তখন দেশ এগিয়ে না যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।
সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত হলে দেশে আন্দোলন, হরতাল, হানাহানি, গ্রামে উপ-শহরে, শহরে মারামারি সন্ত্রাস সময়ের ব্যবধানে থাকবে না। কারণ যারা সন্ত্রাস করে তাদের আশ্রয়দাতা হল রাজনৈতিক দলগুলি, সত্যিকার অর্থে কোন রাজনৈতিক দল মন থেকে এদের চায় না। কিন্তু মনে করে এই সাহসী বেয়াদবগুলি না রাখলে নির্বাচনের দিন কে তাদের ভোটের ব্যবস্থা করবে। সম্পূর্ণ বেশি শক্তি মুক্ত নির্বাচন করা গেলে কোন দলই সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিবে না। তখন সত্যিই সন্ত্রাস মুক্ত করা সম্ভব হবে এবং জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হবে। তখন যারাই ক্ষমতায় যাবে তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করে পরবর্তীতে নির্বাচনে জনগণ তাদেরকে পরিবর্তন করে দিবে। সাধারন জনগণ সব সময় সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। সরকারি দল, বিরোধী দল উভয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার ব্যাপারে জনগণের উপর নির্ভরতার কথা বললেও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যত ফাঁক এবং সুযোগ আছে তা সব পক্ষ ব্যবহারের চেষ্টা করে। যার যেখানে পেশী শক্তি বেশি সে প্রতিপক্ষকে প্রচারণায় বাধা, হুমকি, ভয়-ভীতি এবং নির্বাচনের দিন প্রতিপক্ষের ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ায় বাধা এবং নিজের পক্ষে ভোট দিতে জোর প্রয়োগ। কিন্ত যদি প্রশাসন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কারও পক্ষে না গিয়ে নিরপেক্ষ শক্ত অবস্থান নেয় তখন পেশী শক্তি নির্ভর ভোট না হয়ে সুষ্ট ভোট হতে বাধ্য। এক্ষেত্রে একটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাড়ায় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কতটুকু নিরপেক্ষ, পেশাদারী, আইনের কাছে জবাবদিহি মুলক দায়িত্ব পালনের জন্য মানষিক ভাবে শক্তিশালী। এক্ষেত্রে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরকে দল বা কোন গোষ্ঠীর লোক নয় শুধু প্রজাতন্ত্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত মর্যাদাশীল মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।
এই কাজটা ড. ইউনূস করতে পারতেন কারণ তার কোন দল ছিল না সম্পূর্ণ
নিরপেক্ষভাবে তিনি করলেই হত। কিন্তু দুর্ভাগ্য তিনি করলেন সম্পূর্ণ উল্টা
প্রথমে তিনি অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে কর্মকর্তাদেরকে
দলীয়ভাবে চিহ্নিত করলেন এবং কোন নিয়মনীতি অনুসরণ না করে, যোগ্যতা বিবেচনা
ছাড়াই প্রকাশ্য দলীয় বিবেচনায় পদোন্নতি এবং পদায়ন করলেন। যা অতীতে কোন
রাজনৈতিক দলীয় সরকারও এই মাত্রায় কখনও করে নাই।
আমার বিভিন্ন দেশের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, যে দেশে সরকারী কর্মকর্তা-কমর্চারীদেরকে দলীয়ভাবে বিভক্ত করেছে, সেই দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হয় নাই। আর যে দেশে কর্মকর্তা-কমর্চারীদেরকে রাষ্ট্রের ক্ষমতাপ্রাপ্ত হিসাবে বিবেচনা করছে, তারাই তুলনামুলক ভাল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অব্যহত রেখে জনগণকে স্বস্তি দিতে পারছেন। কর্মকর্তা-কমর্চারীদেরকে ইউরোপ, আমেরিকায় দলীয়ভাবে বিভক্ত করা হয় না। চাকুরীর পূর্বে যে দলের প্রতি নিজের এবং পরিবারের সমর্থন থাকুক না কেউ চাকুরীর পর…ওই সরকারী কর্মকর্তা হিসাবে বিবেচিত হয় এবং সরকারের নির্দেশে আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে অঙ্গিকারবদ্ধ। কিন্তু দুঃভাগ্য হল আমাদের দেশে ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদ্বয় কমর্চারীদের, কর্ম-দক্ষতা, সততা, নিষ্ঠা, নিরপেক্ষতার ও মানুষিক দৃঢ়তার চেয়ে তার অতীত ছাত্র জীবন ও পারিবারিক রাজনৈতিক পরিচয়ের উপর ভিত্তি করে গুরুত্বপূর্ণ পদায়ন ও পদোন্নতি পাওয়ার ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তাই তারা অর্পিত দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে তোষামোদ এবং ক্ষমতাসীন দলের লোক হিসাবে নিজকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং দলীয় প্রভাব সৃষ্টি ও ক্ষমতাসীনদের মনোতুষ্টির মাধ্যমে একটা প্রভাব বলয় সৃষ্টি করে এবং তাদের সাথে অন্য কর্মকর্তাদেরকে সংগঠিত করে একটা বিকল্প শক্তি সৃষ্টি করে। আর এই শক্তি বিভিন্নভাবে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সরকার ও উর্ধতন কর্মকর্তাদেরকে চাপে রাখে এবং যেন তাদের সব অন্যায় সুবিধা নিতে পারে। তারই ফলে সময়ের ব্যবধানে সরকার ও উর্ধতন কর্মকর্তাদেরকে তাদের উপরে নির্ভরশীল করে। ফলশ্রুতিতে সঠিক মেধাবিরা বঞ্চিত হয়। মেধাহীন কমর্চারীরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী না হয়ে ক্ষমতাসীনদের ও প্রভাব বলয়ের কর্মচারীতে রূপান্তরিত হয়। এরাই নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক সরকারকে নির্বাচনে কারচুপি এবং কলাকৌশল তৈরী করে তাদের অধীনস্ত কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ক্ষমতাসীনদের মনোনীত প্রার্থীদেরকে অবৈধ্ভাবে পাশ করার লোভ দেখায়। যদি সরকার কর্মকর্তাগণকে দলীয়ভাবে বিভক্ত না করে সবাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসাবে স্বীয় দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে বাধ্য করা হত এবং কারও পক্ষে না যাওয়ার জন্য পুরস্কৃত হত। তখন কর্মকর্তারা দলবাজির পরিবর্তে কেরিয়ার গড়ার জন্য সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করত। সিংহভাগ কর্মকর্তারাও চায় প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসাবে রাষ্ট্রের নির্ধারিত আইন/বিধি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে মর্যাদাশীল হতে। এবং Performance অনুযায়ী পুরষ্কার তিরষ্কার নির্ধারিত হউক ও ন্যায্য প্রটেকশন যেন পায়। তখন কর্মকর্তা- কমর্চারী আইন ও নিয়মের বাহিরে যাবে না।
এই কাজটা ড. ইউনূস করতে পারতেন কারণ তার কোন দল ছিল না সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে তিনি করলেই হত। কিন্তু দুর্ভাগ্য তিনি করলেন সম্পূর্ণ উল্টা প্রথমে তিনি অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে কর্মকর্তাদেরকে দলীয়ভাবে চিহ্নিত করলেন এবং কোন নিয়মনীতি অনুসরণ না করে, যোগ্যতা বিবেচনা ছাড়াই প্রকাশ্য দলীয় বিবেচনায় পদোন্নতি এবং পদায়ন করলেন। যা অতীতে কোন রাজনৈতিক দলীয় সরকারও এই মাত্রায় কখনও করে নাই। ১৫ দিনের ভিতর সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব ও ৪ মাসে সচিবে উন্নীত করে, ইতিহাস সৃষ্টি করলেন। শত শত হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করে দিলেন। একইভাবে পুলিশকে দলীয়ভাবে বিভক্তির মাধ্যমে ধ্বংস করে দিলেন। অপরাধী যদি সরকারের পছন্দের লোক হয় তাহলে ধরা যাবে না, নিরপরাধ অপছন্দের দলের লোকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার উদাহরণ সৃষ্টি করলেন যার অপরাধের সাথে কোন সম্পর্ক নাই। বিচারবিভাগকে একই ভাবে দলবাজীর মাধ্যমে শেষ করে দিলেন। এ ধরনের কিছু করতে বাধ্য হয়ে তাদের মনবল ভেঙ্গে গেছে। গ্রামে গ্রামে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামাতের মধ্যে স্মরণকালের ভয়াবহ তাণ্ডব লাগিয়ে দিলেন। মানুষ বলে গত ৭০-৭৫ বছরের মধ্যে এই তান্ডব দেখে নাই। প্রায় ২ কোটির বেশী মানুষ ভিটা মাটি ছাড়া। আওয়ামী লীগের গন্ধ আছে এরকম সকল মানুষের উপর অমানবিক অত্যাচার চলছে। এদের অনেকেই ড. ইউনূসের ভক্ত ছিল।
তারপরও আমার মিনতি যদি প্রধান উপদেষ্টার মানবতা ও দেশের প্রতি নূন্যতম অঙ্গীকার থাকে, তাহলে এখনই সকল প্রশাসনকে বিশ্বাসযোগ্যভাবে দলীয়ভাবে চিহ্নিত করা বন্ধ করতে হবে এবং তাদেরকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসাবে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনে সুযোগ করে দিতে হবে। একটা শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ণ ন্যায় পরায়ন কর্মকর্তা ব্যতিত সুষ্ঠ নির্বাচন অসম্ভব।
কিন্তু এটা না করে কোন পক্ষের হয়ে কাজ করলে মানুষ/মীর জাফর হিসাবে চিরদিন
ধিক্কার দিবে এবং প্রতিষ্ঠিত হবে রাজনিতিবিদদের থেকে তথাকথিত উচ্চশিক্ষিত
লোকেরা অনেক সংকীর্ণ ও খারাপ। মানুষ মনে রাখবে এরা যত সুন্দর কথা বলে উপরে
কিন্তু ভিতরে অনেক বেশি ধ্বংসাত্মক এবং এরাই মানবতার প্রকৃত শত্রু।
যেহেতু নির্বাচনই হলো জনগণের রায়ের একমাত্র মাধ্যম, তাই নির্বাচনের পূর্বে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যেন প্রতিটি প্রার্থী দেশের জন্য তার বা তার দলের পরিকল্পনা স্বাধীনভাবে জনগণকে অবহিত করার সুযোগ পায়। জনগণ প্রত্যেক প্রার্থী/দলের পরিকল্পনা গুলিকে পর্যালোচনা করে সঠিক ব্যক্তি/দলকে ভোট দেওয়ার জন্য ভয়-ভীতি মুক্ত, পরিবেশ সরকারকে সৃষ্টি করতে হবে। ভোটারদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরপেক্ষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই জন্য রাষ্ট্রের সকল পুলিশ, সরকারী কর্মকর্তা-কমর্চারীগনকে দলীয় নয় নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে দায়বদ্ধ করতে হবে।
এই জন্য সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের পেশগত দায়িত্ব পালনের শ্রেষ্ঠতা অনুযায়ী পদায়ন ও পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রের কর্মচারীগণদের উপর অর্পিত দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে পালনের যে কোন ঝুকির প্রয়োজনীয় প্রটেকশন দিতে হবে। প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের স্ব-স্ব পরিকল্পনা ও প্রস্তাবনা বা অঙ্গীকার, মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সমান সুযোগ দিতে হবে। ভোট কেন্দ্র গুলিতে মানুষ ভয় ভীতি মুক্তভাবে যাওয়া এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দেওয়ার পরিবেশ সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। এই জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনকে মোতায়ন ও তাদের নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতার জবাবদিহি শক্তভাবে দিতে হবে।
এই অবস্থায় সারা দেশে একসাথে নির্বাচনের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য করার মত পর্যাপ্ত সংখ্যক কমকতা-কর্মচারী ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করার লোকবল যথেষ্ট নয়। সে জন্য বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনে ৩/৫ দিনে অনুষ্ঠিত করা যায়। আটটি বিভাগকে ৩/৫ দিনে ভাগ করে ভোট গ্রহণ করার ব্যবস্থা করলে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোক মোতায়ন করা যাবে। আসন অনুযায়ী ভোট গ্রহণের পর সকল ভোটের বাক্স সীলগালা করে জেলা হেডকোয়ার্টারে বিশেষ ব্যবস্থায় ও সম্পূর্ণ নিরাপত্তার সহিত সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবে। সারা দেশে ভোট গ্রহণের পর জেলায় স্বস্ব প্রার্থীর-প্রধান/উপ-প্রধান/সহকারী এজেন্টদের উপস্থিতিতে ভিন্ন ভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে গণনা সম্পূর্ণ করে সাথে সাথে ফলাফল ঘোষণা করার ব্যবস্থা করা। তাহলে সত্যিকার জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচন করা সম্ভব। আর এই প্রতিনিধিগণই যখন আইন প্রণয়ন করবে তাকে জনগণের ক্ষমতার ভিত্তিতে আইন/সংবিধান/শাসন ব্যবস্থা বলা যায়।
ড. ইউনূছ সংবিধানের উপর শপথ নিয়ে বললেন, জনগণের মতামতের ভিত্তিতে দেশ চলবে, আইন প্রণয়ন, সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন হবে। আইন সবার জন্য সমান ও নিরপেক্ষভাবে প্রয়োগ হবে। কর্মচারীদের পেশা গত দায়িত্ব পালনের জ্যেষ্ঠতা/শ্রেষ্টতা অনুযায়ী পদোন্নতি ও পদায়ন হবে। জনগণের পছন্দের ব্যাক্তি বা দলকে নির্বাচিত করার স্বাধীন সুযোগ থাকবে। জনগণের মতামত বা রায় দেওয়ার ব্যবস্থা সত্যিকারে প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু এটা না করে কোন পক্ষের হয়ে কাজ করলে মানুষ/মীর জাফর হিসাবে চিরদিন ধিক্কার দিবে এবং প্রতিষ্ঠিত হবে রাজনিতিবিদদের থেকে তথাকথিত উচ্চশিক্ষিত লোকেরা অনেক সংকীর্ণ ও খারাপ। মানুষ মনে রাখবে এরা যত সুন্দর কথা বলে উপরে কিন্তু ভিতরে অনেক বেশি ধ্বংসাত্মক এবং এরাই মানবতার প্রকৃত শত্রু।