বিসিবির সভাপতি হওয়ার পরেই ফারুক আহমেদ জানিয়েছিলেন, এবার নতুন আঙ্গিকে হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএল। তবে বিপিএলের ১১তম আসর শুরুর পর দেখা গেলো উল্টো চিত্র। খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ইস্যুতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো যে নাটকের মঞ্চায়ন করেছে, তা ছাড়িয়ে গেছে আগের সব আসরকে। তার উপর স্পট ফিক্সিং নিয়েও উঠেছে অভিযোগ।
বিপিএলের ১১তম আসর শুরুর পর থেকেই স্পট ফিক্সিং নিয়ে হচ্ছে নানা কানাঘুষা। ইতোমধ্যে তদন্তে নেমেছে বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগ। সন্দেহের তালিকায় আছেন যে কজন ক্রিকেটার, তাদের একজন দুর্বার রাজশাহীর ব্যাটার এনামুল হক বিজয়। যার কারণে তার দেশত্যাগে দেয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞাও।
এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বড় শাস্তির মুখোমুখি হবেন তিনি। তার আগে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে এ ক্রিকেটারকে।
বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে তাকে যেন দেশ ছাড়তে না দেয়া হয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে ‘এনামুল হকের ব্যাপারে ইমিগ্রেশন বিভাগকে একটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে মতে ব্যবস্থা গ্রহণও করা হয়েছে।’
তবে দুর্নীতি দমন বিভাগের তদন্তে দোষী প্রমাণিত না হলে তুলে নেয়া হবে বিজয়কে দেয়া নিষেধাজ্ঞা।
বিপিএলের চলতি আসরে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বিজয়। ১২ ম্যাচে ৩৯.২০ গড়ে ৩৯২ রান করেছেন তিনি। যেখানে দুই ফিফটির সঙ্গে আছে একটি সেঞ্চুরির ইনিংস।
এদিকে শুধু বিজয়-ই নন, রাজশাহীর একাধিক ক্রিকেটারকে ঘিরে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আছে। এর বাইরে আরও তিন দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের ওপর নজরদারি করছে দুর্নীতি দমন বিভাগ।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ