Publish: Sunday, 13 April, 2025, 9:24 AM

আমের রাজধানী খ্যাত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন আম কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চীনা আমদানিকারক। শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি আমবাগান পরিদর্শনে এসে এ আগ্রহের কথা জানান, চীনের আমদানিকারক মি. শু ওয়েই।
এ সময় গুড অ্যাগ্রিকালচার প্র্যাকটিস-গ্যাপ অনুযায়ী চাষাবাদ করা আমবাগান দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি। পরে শিবগঞ্জ পৌর এলাকার একাডেমি মোড়ে আম গ্রেডিং, শর্টিং ও শোধন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ম্যাঙ্গো ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আহসান হাবিব বলেন, বিকেলে আমার আমবাগান পরিদর্শন করেন চীনের একজন আমদানিকারক। তিনি বাগান থেকে সরাসরি আম কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কোনো মাধ্যম ছাড়া সরাসরি চীনে আম রপ্তানি করতে পারলে আমরা লাভবান হব।
শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কয়েকটি আমবাগান পরিদর্শন করেছেন চীনা আমদানিকারক। তারা আমাদের কাছে আম কিনতে চায়। এভাবে আম রফতানি করতে পারলে জেলার অর্থনীতি চাঙা হবে। চীনের বাজার ধরতে পারলে আম থেকেই ব্যাপক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মিয়া বলেন, বিকেলে চীনের একজন আমদানিকারক উপজেলার কয়েকটি আমবাগান পরিদর্শন করেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন আম তারা কিনতে চান তারা৷ চীনা আমদানিকারক জানিয়েছেন, ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন চাহিদা থাকলেও সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে উদ্যোগ নিলে যেসব সমস্যা রয়েছে, তা দূর করতে পারলে আম রপ্তানির দ্বার খুলে যাবে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি বছর হেক্টর প্রতি ১০ দশমিক ৩ মেট্রিক টন হিসেবে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ২৯০ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ৩ লাখ টন ও উৎপাদন হয় ৩ লাখ ৪৮ হাজার ২৭৮ টন। গত বছর ২০২৪ সালে ১৩৩ টন আম রপ্তানি হয়েছে মূলত ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে। এর আগের বছর ২০২৩ সালে রপ্তানি হয়েছিল ৩৭৬ টন।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ