চীনের সঙ্গে পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মান ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রোববার (৩১ আগস্ট) চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
চীনের তিয়ানজিনে দুদিনব্যাপী শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সামিটের ফাঁকে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
মোদি বলেন, “গত বছর কাজানে আমাদের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল, যা সম্পর্ককে ইতিবাচক দিক নির্দেশ দিয়েছে। সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।” তিনি কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু এবং দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, “ভারত ও চীনের জন্য বন্ধু ও ভালো প্রতিবেশী হওয়া জরুরি। বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তনশীল। আমরা বিশ্বের দুই জনবহুল সভ্যতার দেশ ও গ্লোবাল সাউথের অংশ। তাই সহযোগিতা জোরদার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
প্রায় সাত বছর পর গতকাল শনিবার চীনের মাটিতে পা রাখেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে সীমান্তে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। তবে বৈশ্বিক বাণিজ্য ও ভূ-রাজনীতিতে অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে দুই দেশ এখন সম্পর্ক পুনর্গঠনের দিকে এগোচ্ছে। ভারত যদিও যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের সঙ্গে কোয়াড নিরাপত্তা জোটে আছে, যা চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত হয়।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ