তানজিদ তামিমের শতক ছোঁয়া রানে বড় জয় ঢাকার
স্পোর্টস ডেস্ক
Publish: Wednesday, 22 January, 2025, 10:35 PM
প্রথম ইনিংস শেষেই যেন বোঝা গিয়েছিল ম্যাচের ফল কী হতে পারে? ম্যাচ শেষেও তা-ই হয়েছে। চিটাগাং কিংসকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানেই হারাল ঢাকা ক্যাপিটালস। ঢাকাকে ১১ বল হাতে রেখে বড় জয়টা এনে দিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। বাঁহাতি ব্যাটারের অপরাজিত ৯০ রানের ইনিংসে সহজ জয় পেয়েছে ঢাকা।
ফিফটি করার পথে ঢাকার হয়ে একটি রেকর্ডও গড়েছেন তানজিদ তামিম। সতীর্থ লিটন দাসের ৩টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসকে পেছনে ফেলে চারটির মালিক এখন তিনি।
চট্টগ্রামে ১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লিটনের সঙ্গেই বলা যায় ওপেনিং জুটিতে ম্যাচ শেষ করে দেন তানজিদ তামিম। দুজনে মিলে উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ৭৫ রান। যা প্রতিপক্ষের দেওয়া লক্ষ্যের অর্ধেক। ২৫ রান করে যখন সতীর্থ আউট হলো তখন জয়ের বাকি কাজটা মুনিম শাহরিয়ার ও সাব্বির রহমানের সঙ্গে করেন তানজিদ তামিম।
দ্বিতীয় উইকেটে মুনিমের (১২) সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি গড়ার বিপরীতে সাব্বিরের (১৪*) সঙ্গে ম্যাচ জোতানো ৩৮ রানের অপরাজিত জুটি গড়েন তানজিদ। প্রতিপক্ষের স্কোরটা বড় থাকলে নিশ্চিতভাবেই এবারের বিপিএলে দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা পেয়ে যেতেন তানজিদ তামিম।
তাই ১০ রানের ছোট্ট একটা আক্ষেপ যেন থেকেই গেল তানজিদ তামিমের। তবে দল জেতায় ৭ ছক্কা ও ৩ চারে সাজানো ৯০ রানের ইনিংসেটি নিশ্চয়ই খুশি তিনি। ৫৪ বলের ইনিংসটির জন্য পরে ম্যাচসেরার স্বীকৃতিও পেয়েছেন ২৪ বছর বয়সী ব্যাটার। সঙ্গে প্রথম ব্যাটার হিসেবে এবারের বিপিএলে ৪০০ রানের গণ্ডি পার করেছেন তিনি। বর্তমানে তার রান ৪২০।
চিটাগাংয়ের বিপক্ষে পাওয়া জয়টি ঢাকার টানা দ্বিতীয়। সর্বশেষ চার ম্যাচে তিন জয় পাওয়া দলটি যেন ছন্দে ফেরতে দেরিই করে ফেলেছে। শুরুর টানা ৬ ম্যাচ না হারলে বিপিএলটা অন্য রকমই হতে পারত তাদের। ৬ পয়েন্ট নিয়ে চারে থাকা দলটির অবশ্য এখনো সুযোগ আছে কোয়ালিফায়ারে জায়গা পাওয়ার। সেটা অবশ্য খুবই সামান্য। কেননা ইতিমধ্যে ১০ ম্যাচ খেলেছে তারা। অন্যরা তাদের থেকে দুই এক ম্যাচ কম খেলেছে। নাটকীয়তা যদি ঘটেও শেষ দুই ম্যাচ জয়ের সঙ্গে প্রতিপক্ষদেরও হার কামনা করতে হবে ঢাকাকে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ
মতামত লিখুন: