শেষ ওভারের রোমাঞ্চে খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে বিপিএলের প্লে-অফে এক পা দিয়ে রাখলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল। বুধবার (২২ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হওয়া দিনের শেষ ম্যাচে ৭ রানের জয় পেয়েছে বরিশাল। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ সংগ্রহ করে বরিশাল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তুলতে সক্ষম হয় খুলনা। 

এদিকে এই জয়ে ৮ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বরিশাল। তিন নম্বরে থাকা চিটাগং কিংসের পয়েন্ট ১০, অবশ্য বরিশালের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলেছে তারা। ১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট তালিকায় চার নম্বরে আছে ঢাকা ক্যাপিটালস। 

শেষ ওভারে খুলনার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। উইকেটে ছিলেন নাঈম শেখ এবং বোসিস্টো। বোলার রিপন মণ্ডল প্রথম বল ডট আদায় করে নিলেও, পরের দুই বলে দুটি ছক্কা আদায় করে নেন নাঈম শেখ। এতে করে ম্যাচে ফেরে খুলনা। কিন্তু ওভারের চতুর্থ বলে আবারো বড় শট খেলতে গিয়ে মালানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। শেষ দুই বল থেকে মাত্র ৫ রান আসায় ৭ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফরচুন বরিশাল। 

১৬৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে খুলনার শুরুটা ভালো হয়নি। স্কোরবোর্ডে ৬ রান যোগ হতেই ওপেনার ইমরুল বিদায় নেন। দ্বিতীয় উইকেটে মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ৫৯ রান তোলেন মোহাম্মদ নাঈম। দলীয় ৬৫ রানে মিরাজ ফিরলে ভাঙে জুটি। স্কোরবোর্ডে আরও ৯ রান যোগ হতেই অ্যালেক্স রোজের উইকেট হারায় খুলনা। 

এরপর চতুর্থ উইকেটে আফিফকে নিয়ে এগুতে থাকেন নাঈম। ১৮তম ওভারে জাহানদাদের প্রথম বলেই আফিফ ক্যাচ তুলে দিলেও ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে তা মিস করেন লান। তবে পরের বলেই মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আফিফ। উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই রানআউটে বিদায় নেন অঙ্কন। ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতে ৫৯ বলে ৭৭ রান করে ফেরেন নাঈম শেখ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তোলে খুলনা টাইগার্স। বরিশালের হয়ে জাহানদাদ খান নেন দুটি উইকেট। মোহাম্মদ নবি, রিপন মণ্ডল ও রিশাদ হোসাইন নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে ইনিংসের শুরুতে বল করতে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম বলে এক রান দিয়ে টানা দুই বলে তামিম ও মালানকে তুলে নেন তিনি। আর তাতেই হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে মুশফিক এসে হ্যাটট্রিক আটকে দেন। তবে দলীয় ১৬ রানে রানআউটে কাটা পড়েন অভিজ্ঞ এ ব্যাটার। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাওহীদ হৃদয় মিলে ৪৪ বলে ৪৭ রানের একটা জুটি গড়েন। দলীয় ৬৩ রানের মাথায় হৃদয় ফিরলে ভাঙে জুটি। তার আগে ৩০ বলে ৩৬ রান করেন তিনি।

মোহাম্মদ নবিও এদিন উইকেটে এসে থিতু হতে ব্যর্থ হন। তিনি ২ বলে ১ রান করে সালমান ইরশাদের বলে অঙ্কনের ক্যাচ হয়ে ফেরেন। পাকিস্তানি রিক্রুট ফাহিম আশরাফ এদিন ৮ বলে করেন মাত্র ৯ রান। মাহমুদউল্লাহ বিদায় নেন ৪৫ বলে ৫০ রান করে। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩ চার ও দুটি ছক্কায়। জাহানদাদ ফেরেন ৫ বলে ১০ রান করে।

শেষ দিকে রিশাদ হোসেনের ১৯ বলে বলে ৩৯ রানে ভর করে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় বরিশাল। খুলনার হয়ে তিন উইকেট শিকার করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সালমান ইরশাদ দুটি এবং নাসুম আহমেদ ও জিয়াউর রহমান নেন একটি করে উইকেট।

ডার্ক টু হোপ/এসএইচ